বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষা যেমন- পিইসি (প্রাইমারি এডুকেশন কমপ্লিশন) বা পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা থাকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরীক্ষায়। এই পরীক্ষায় গড়ে প্রায় প্রতি বছর ২৫ থেকে ২৮ লাখ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে থাকে। অন্যদিকে, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় যথাক্রমে গড়ে প্রায় ২২ লাখ, ১৮ লাখ এবং ১২ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে থাকে। শিক্ষা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এসব পরীক্ষার ফলাফল দেখতে নিচের লিংকগুলো ভিজিট করুন।
যদিও শিক্ষার্থীদের বই এবং ব্যাগের বোঝা কমানো এবং মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে সহায়ক শিক্ষাক্রম প্রণয়ন এবং পরীক্ষার চাপ কমানো উদ্যোগ গ্রহণ করছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিকভাবে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের সব ধরণের পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ধাপে ধাপে তা প্রাথমিকের সব শ্রেণিতে প্রয়োগের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে।
কোচিং বাণিজ্য, প্রাইভেট পড়ানো, গাইড নির্ভর পড়ালেখা দিন দিন আমাদের শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ এবং সৃজনশীলতার চর্চায় এবং আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মতো যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই সরকার বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে যাচ্ছে। তবে প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং শিক্ষার গুরুত্ব ব্যতিরেখে কেবলমাত্র জিপিএ-এর পিছনে ছুটতে গিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাঁদের নিজেদেরকেই হারিয়ে ফেলছে। ফলে শিক্ষার যে প্রায়োগিক দিক অর্থাৎ শিক্ষার্থীর আবিষ্কারি মন সেটি মুখস্ত ও পরীক্ষা নির্ভর শিক্ষার ব্যবস্থার কারণে ভঙ্গুর অবস্থায় পর্যবশিত হয়েছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নয়ত আমাদের শিক্ষার্থীরা কেবল সনদ লাভই করবে কিন্তু জাতি সে শিক্ষার উপকার বা ফল খুব কমই ভোগ করতে হবে। বর্তমান বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায় পৃথিবীতে সেই সকল দেশই উন্নত যাদের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত। অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা জীবন শেষে কর্ম জীবনে প্রবেশ করতে হয়। আর কর্ম জীবন যদি কর্মগুণে ও দক্ষতায় ভরিয়ে তোলা না যায় তবে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। অনেকটা চিরচেনা সেই ভাব-সম্প্রসারণের মতো-
গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন
নহে বিদ্যা, নহে ধন হলে প্রয়োজন।।